মাদক কারবারে পুলিশ, এ যেন শর্ষের ভেতর ভূত!
মাদক কারবারে পুলিশ, এ যেন শর্ষের ভেতর ভূত!
ইয়াবাসংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। এ যেন শর্ষের ভেতর ভূত! অপরাধ দমনের দায়িত্ব যাদের ওপর বর্তায়, তারাই যদি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন, তাহলে অপরাধের মাত্রা বাড়তে বাধ্য। কক্সবাজার একটি অপরাধপ্রবণ এলাকা। রোহিঙ্গাদেরও অনেকে এ অঞ্চলে নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে। অবৈধ ইয়াবা ব্যবসা সামগ্রিক অপরাধচিত্রের এটি বড় অংশ। উপরের ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন উঠবে যে, কক্সবাজার এলাকাটিকে সত্যিই কি অপরাধমুক্ত করা সম্ভব? প্রশ্নটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা, সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত। দেশের পুলিশ বাহিনী বর্তমান সরকারকে কতটা সহযোগিতা করছে, এ প্রশ্ন সরিয়ে রেখেও বলা যায়, এ বাহিনীকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা না গেলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো সম্ভব হবে না।
বর্তমান সরকার পুরোনো সমস্যাগুলো নিয়েই হিমশিম খাচ্ছে, নতুন সমস্যা তৈরি হলে, তা-ও আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক সৃষ্ট, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা দুরূহ হয়ে পড়বে। তাই কক্সবাজারের ঘটনাকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে এবং দোষীদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে। দ্বিতীয় কথা, এ ঘটনার তদন্ত পুলিশ বাহিনীর সদস্য দ্বারা করলে চলবে না, কারণ অভিযুক্তদের অনেকেই এ বাহিনীর সদস্য শুধু নয়, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা হবে, এটাই প্রত্যাশা।