বরিশাল জেলা পুলিশের অভুতপূর্ত সফলতা
বরিশাল জেলা পুলিশের অভুতপূর্ত সফলতা
মামলার আসামী দ্রুত গ্রেফতারে অভুতপূর্ত সফলতা অর্জন করেছে বরিশাল জেলা পুলিশ। বর্তমান পুলিশ সুপার মোঃ শরিফ উদ্দীনের যোগদানের মাত্র দেড় মাসে ডাকাতি ও হত্যা মামলার আসামী দ্রুত গ্রেফতারে এ সফলতা বিগত দিনকে ছাপিয়ে গেছে। এসময় উদ্ধার হয়েছে হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। আর দ্রুত আসামী আটকে অপরাধপ্রবনতা কমবে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সুপার মোঃ শরিফ উদ্দীন গত ২২ ডিসেম্বর বরিশাল জেলায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে জেলার অপরাধ প্রবনতা কমিয়ে আনতে নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেন তিনি। এর মধ্যে চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী দ্রুত গ্রেফতারে তাগিদ দেন অধনস্থদের। নির্দেশনামোতাবেক কাজও শুরু করে পুরো টিম।
কাজ শুরুর প্রথমেই ছেলের হাতে বাবা খুনের দশ মাস পর গত ২২ জানুয়ারী জেলার বাকেরগঞ্জ রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের দাওকাঠী গ্রামের বাদশা হাওলাদারকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানায় সংসারে বাবার খবরদারী মানতে না পেরে গত বছর ১৯ এপ্রিল বাদশা হাওলাদার তার বাবা রুস্তম আলী হাওলাদারকে (৭৫) গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এতোদিন হত্যার কোন ক্লু না পেলেও বর্তমান পুলিশ সুপার যোগদানের পর তৎপরতা বাড়ায় জেলা পুলিশ। এরই ফলশ্রুতিতে আটক হয় হত্যাকারী ছেলে। অন্যদিকে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর জেলার গৌরনদীতে একটি হত্যা মামলায় চার জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া একই উপজেলায় দাদা বাড়িতে বেড়াতে এসে এক শিশু হত্যার ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে দুইজনকে গ্রেফতারে সক্ষম হয় জেলা পুলিশ। সবশেষ গত সপ্তাহে বাবুগঞ্জ নদী থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়।
এছাড়া ১৩ জানুয়ারী জেলার উজিরপুরের পশ্চিম বামরাইল গ্রামের জামাল সরদারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মালামাল উদ্ধারসহ অতিদ্রুততার সাথে ঘটনায় জড়িত ছয় জনকে ও ১০ ফেব্রুয়ারী গৌরনদী থানা এলাকার সুন্দরদী গ্রামের মজিবর ঘরামীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় একজনকে আটক করেছে জেলা পুলিশ। শুধু ডাকাতি ও হত্যা মামলার ক্ষেত্রেই নয় মাদক উদ্ধারেও ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে জেলা পুলিশ। গত ৩ জানুয়ারী উজিরপুর থানাধীন বামরাইল পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে এক মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে ৯৯০৩ পিস ইয়াবা ট্যালেটসহ আটক করে। যার বাজার মুল্য চৌত্রিশ লক্ষাধীক টাকা। বরিশাল উজিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম মনে করেন, এভাবে ঘটনার সাথে সাথে আসামীরা গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আসলে সমাজের অপরাধ প্রবনতা দিনে দিনে কমে আসবে।