Header Ads

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি কার্যালয়ে তালা দিলেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা



 বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গোপন সিন্ডিকেট সভার আহ্বানের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. সূচিতা শরমিন বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বাসভবন ও অফিসে তালা দিয়ে দেয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ই ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩ টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে উক্ত বিরোধী আন্দোলরের শুরু হয়। জানা যায়, আগামী শুক্রবার (১৪ই ফেব্রুয়ারি) শিক্ষকদের পাঁচটি পদ খালি রেখে সিন্ডিকেট সভার আহ্বান করা হয়েছে। এই সভায় কোন সদস্যরা অংশগ্রহণ করবেন এবং সভার এজেন্ডা কী হবে তাও প্রকাশ করা হয়নি।

এর আগে নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মেয়াদপূর্তির আগেই নির্বাচিত দুই সিন্ডিকেট সদস্যকে নিয়মবহিভূতভাবে বাদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে পূর্ণবহাল করতে এবং অবৈধ বিভিন্ন সুযোগ- সুবিধা দিতে এবং ভিসির পাতানো কিছু সিদ্ধান্ত নিতেই এই কাজটি করা হয়েছে। এসময় তিনি উক্ত সিন্ডিকেট সভাকে ফ্যাসিবাদ কায়েমের সভা নাম দিয়ে বলেন, এটি একটি পাতানো এবং সাজানো সিন্ডিকেট যা শুধুমাত্ল ফ্যাসিবাদকে কায়ের জন্যই মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। 

এদিন শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এনে উপাচার্যের পদত্যাগ ১ দফা দাবি তোলেন।

অভিযোগগুলো হলো-
১. মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিয়ম বহির্ভূত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রেজিস্ট্রারকে বহাল রেখে অসাধু সুবিধা দেয়ার জন্য পাতানো গোপন সিন্ডিকেট সভার আহ্বান।
২. ২৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নৃশংস হামলায় অংশ নেয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আগাম জামিন পাওয়া ও ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ না হওয়া।
৩. নিয়মবহির্ভূত ভাবে দুইজন সিন্ডিকেট সদস্যকে বাদ দিয়ে চিহ্নিত আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিয়ে পাতানো গোপন সিন্ডিকেটের নাটক মঞ্চস্থ করা
৪. আইন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের স্বপদে বহাল রেখে মূল পদে আনার কুচক্রী পায়তারা চালানো।

৫. গত ৬ মাসেও ২২ দফার কোনরকম প্রতিফলন করতে ব্যর্থ হওয়া
৬. ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের অবাধ বিচরণ, মাদক সেবন ও ভাঙচুরের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হওয়া।

আন্দোলন অংশ নেয়া মোহাইমিনুল নামের এক শিক্ষার্থী এই অভিযোগগুলো তুলে ভিসির পদত্যাগবাদী করেন এবং বলেন, আমাদের আজকের অবস্থান এক দফা, এক দাবি ভিসির পদত্যাগ। ভিসি সিন্ডিকেট সভা থেকে অবৈধভাবে দুইজন সিন্ডিকেট সদস্যকে 'আওয়ামী দোসর' আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছেন শুধুমাত্র তার অসাধু সিধান্ত বাস্তবায়নের জন্য। সেই ভিত্তিতেই আজ আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি। আমরা এর কোনো ব্যাখ্যা চাই না-আমাদের এক দফা, এক দাবি, ভিসির পদত্যাগ।

বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য ড. শূচিতা শরমিনের সাথে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি।

Powered by Blogger.